কুমড়োবড়ি তৈরির নিয়ম

নিরামিষ

কুমড়োবড়ি তৈরির নিয়ম
কুমড়োবড়ি তৈরির নিয়ম

উপকরণ

খোসাসহ কাঁচা মাষকলাইয়ের ডাল ১ কেজি, শুকনা সাদা চালকুমড়ো কুড়ানো আধা কেজি।

প্রণালি

ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে বেতের ঝুড়িতে ঘষে খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিতে হবে; একদম সাদা হবে এবং কোনো খোসা থাকবে না। চালকুমড়োর বিচি ফেলে ঝিনুক বা কোরানি দিয়ে খুব ভালো করে কুরিয়ে নিতে হবে। ভালো করে ধুয়ে এমন করে পানি ঝরাতে হবে যেন পানি না থাকে। এবার বাঁশের চালনিতে করে একবেলা রোদে দিতে হবে। চালকুমড়োর কাজ আগের দিন করে রাখলে ভালো হয়। ডাল বাটার পর তার সঙ্গে চালকুমড়ো মিলিয়ে বাটতে হবে। সব বাটা হয়ে গেলে একটি থালায় অল্প অল্প করে নিয়ে হাতে পানি দিয়ে ফেটতে হবে। ফেটার সময় যখন হালকা মনে হবে তখন একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে গোলা ছাড়তে হবে। যদি গোলা ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে বড়ি তৈরির উপযোগী হয়ে গেছে।

একটা বড় নেট অথবা মশারির কাপড়ের ওপর রোদে বসে বড়ি দিতে হবে। বড়ি দেওয়া হয়ে গেলে দু-তিন দিন শুকাতে হবে। কড়া রোদে শুকিয়ে গেলে নিজে নিজে বড়ি উঠে আসবে। সব বড়ি যখন উঠে আসবে, তারপর একটি বাঁশের ঝুড়িতে করে আরও চার-পাঁচ দিন রোদ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে ভালো করে। শুকিয়ে নিলে বড়িতে সহজে পোকা ধরে না। এবার শুকনো বয়ামে ভরে সারা বছর খাওয়া যাবে। বড়ি রান্নার কয়েকটি রেসিপি দেওয়া হলো। বড়ি শীতকাল ছাড়া ভালো হয় না। তাই শীতকাল হচ্ছে বড়ি বানানোর উপযুক্ত সময়।



শেয়ার করুন
Facebook Google+ Twitter