মূলজাতীয় সবজি হিসেবে পরিচিত বিটরুট লাল বিট, টেবিল বিট, গার্ডিন বিট বা শুধু বিট হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ফাইবার, ফলিত (ভিটামিন বি৯) ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।
এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। যেমন- রক্তপ্রবাহের উন্নতি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কর্মক্ষমতা বাড়নো।
পুষ্টিমান: ১০০ গ্রাম বিটরুটে রয়েছে ৪৩ ক্যালোরি, ৮৮ শতাংশ পানি, ১.৬ গ্রাম প্রোটিন, ৯.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.৮ গ্রাম চিনি, ২.৮ গ্রাম ফাইবার ও ০.২ গ্রাম ফ্যাট। এছাড়া আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপারের মতো প্রয়োজনীয় বেশকিছু উপাদানে ভরপুর এই সবজি। জেনে নিন বিটরুট নিয়মিত খেলে কী কী উপকার পাবেন।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১. রক্তচাপ কমায়: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বিটরুট। আমেরিকার এক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা মতে, ১০০ গ্রাম বিট কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
২. হজমে সহায়ক: ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে বিটে যা খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে।
৩. শরীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়: এতে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ব্যায়ামের সময় অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
৪. ওজন কমাতে: প্রচুর পরিমাণে পানি ও খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালোরি ও ফ্যাট রয়েছে বিটে। ফলে ওজন কমাতে চাইলে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন রঙিন এই সবজি।
৫. ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমায় বিটরুট।
৬. এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় আয়রন। নিয়মিত এটি খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।